মোঃ আল হেলাল চৌধুরী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি; সীমান্ত ঘেষা দেশের উত্তরের কৃষি নির্ভর জনপদ দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা। বোরো ধান আবাদের পর করোনার দুর্যোগেও আমন রোপণ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফুলবাড়ী উপজেলার কৃষকেরা।

উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের সরকার পাড়ার কৃষক মহসিন আলী, আনোয়ার হোসেন এবং গিয়াস উদ্দিন জানান, শ্রাবণ মাসের শুরুতে তেমন বৃষ্টিপাত না হলেও ফুলবাড়ীর কৃষকরা সেচের পানি দিয়ে তাদের উচু জমি গুলো পূর্বেই রোপন শেষ করেছে। বর্তমানে নিচু জমি গুলো থেকেও পানি শুকিয়ে যাওয়ায় কৃষকরা তরিঘড়ি শুরু করেছে আমন চাষে। সদর উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায় কিছু স্থানে চারা গাছ তুলছেন তারা। আবার কিছু স্থানে গিয়ে দেখা যায় চারা রোপণ করতে শুরু করেছেন কৃষক। সবকিছু মিলিয়ে এ উপজেলার কৃষক ও কৃষিতে নিয়োজিত শ্রমিকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন আমন নিয়ে। এদের মধ্যে নারী শ্রমিকদেরও কাজ করতে দেখা যায় বেশ কয়েক জায়গায়।

উপজেলার বারাই পাড়ার কৃষক হামিদুল্লাহ, ফরহাদ হোসেন এবং রাসেল জানান, শ্রাবণের মাসের চলতি সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ গুলো ছিল কৃষকদের আমন চাষে পদচারনায় উৎসব মুখর। অনেকেই বরেন্দ্র এবং ছোট ডিপ মেশিন গুলো বন্ধ থাকায় সেলো মেশিনের পানি দিয়ে আমন রোপন শেষ করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পরেছেন। চলতি মৌসুমে ইরি-বোরো ধানের ভালো মূল্য পাওয়ায় এবার আমন চাষেও কৃষরা উঠেপড়ে লেগেছেন। এ উপজেলার কৃষকরা সাধারণত শ্রাবণের শেষের মধ্যেই আমন ধান রোপন সম্পন্ন করে থাকেন। মাঠ গুলো ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি মাঠে প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি জমি রোপন করা শেষ করেছেন কৃষকরা।

এ বিষয়ে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুম্মান আক্তার জানান, শ্রাবণ মাসের মধ্যে রোপা লাগানোর কাজ শেষ করতে পারলে আমন আবাদের কোনো ক্ষতি হবে না। উপজেলায় ১৮ হাজার ১ শত ৮১ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ যাবত এ উপজেলায় মোট ১৫ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে। আমন ধানের ব্যপক ফলনের লক্ষ্য নিয়ে আমরা কঠোর লকডাউনের মধ্যে কাজ করছি ও মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সেবা দিয়ে যাচ্ছি। আবহাওয়া অনুকল থাকলে আশা করি আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব।